Khoborerchokh logo

উচ্চ আদালতে রিট করে গাজীপুরের রাজনীতিতে আবারও আলোচনায় জাহাঙ্গীর আলম 375 0

Khoborerchokh logo

উচ্চ আদালতে রিট করে গাজীপুরের রাজনীতিতে আবারও আলোচনায় জাহাঙ্গীর আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বহুল আলোচিত সমালোচিত গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কারের পরপরই জাহাঙ্গীর আলমকে ঘিরে শুরু হয় নানা গুঞ্জন,নেতাকর্মীদের মাঝে চলতে থাকে পাল্টাপাল্টি কথোপকথন আস্তে আস্তে  কর্মী,সমর্থক আর শুভাকাঙ্ক্ষীদের আনাগোনা কমতে থাকে। জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকদের অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয় ।  সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্তের পর একরকম নীরব বনে যান তিনিসহ তার সমর্থকরা। যেখানে সব সময় মানুষজনে গমগম করা তাঁর বাড়িটিও ফাঁকা হয়ে যায় আস্তে আস্তে ।
 মেয়র পদ থেকে বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে সম্প্রতি উচ্চ আদালতে রিটের পর বদলাতে শুরু করেছে দৃশ্যপট। নীরব অবস্থান থেকে সরব হতে শুরু করেছেন নানা কারণে আলোচিত–সমালোচিত জাহাঙ্গীর আলম। সঙ্গে বেড়েছে কর্মী–সমর্থকদের আনাগোনা। সব মিলিয়ে মহানগর এলাকায় আবারও আলোচনায় জাহাঙ্গীর আলম। এরই মধ্যে চাঙাভাব দেখা দিয়েছে তাঁর কর্মী-সমর্থকদের মাঝেও।


গত বছরের সেপ্টেম্বরে গোপনে ধারণ করা জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কথোপকথনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। এরই মধ্যে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত বছরের ১৯ নভেম্বর দল থেকে বহিষ্কার হন জাহাঙ্গীর আলম। বিতর্কিত মন্তব্যে ‘ক্ষুব্ধ’ ব্যক্তিরা তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি জেলায় আদালতে মামলাও করেন। সরকারি সম্পদের অপব্যবহার, অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৫ নভেম্বর মেয়র পদ থেকে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর প্রায় ৯ মাস পর গত ১৪ আগস্ট পুনরায় মেয়র পদ ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে রিট করেন তিনি।



রিটের বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কতগুলো মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে প্রায় এক বছর ধরে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করে রাখা হয়েছে। আমি জনগণের সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত মেয়র। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নপূরণে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। তাই বাধ্য হয়েই উচ্চ আদালতে রিট করেছি।



রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৩ আগস্ট বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন। হাইকোর্ট জানতে চান,গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না। স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়সচিব,আইনসচিব;গাজীপুরের জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।


রিট করে জাহাঙ্গীর আলম কী আবারও মেয়র পদে ফিরতে পারবেন,এমন আলোচনা এখন নগরের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রাজনীতির মাঠে সরব ।


 গত ২৩, ২৭ ও ২৯ আগস্ট২০২২ইং দুপুরের দিকে জাহাঙ্গীর আলমের বাসভবনে গিয়ে নিচতলা ও দোতলা মিলিয়ে ৩০-৪০ জনের জটলা দেখা গেছে। ভবনের নিরাপত্তাকর্মী নাজমুল জানান, রিটের খবর ছড়াতেই নতুন করে বেড়েছে মানুষের সংখ্যা। প্রতিদিনই নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে।
জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো তদন্ত করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কমিটির প্রধান করা হয় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নগর ও উন্নয়ন অনুবিভাগ) মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকীকে।


চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি২০২২ইং থেকে ১১টি অভিযোগের ওপর কাজ শুরু করে কমিটি। এরপর আট মাস পার হলেও এখনো তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েনি। জাহাঙ্গীর আলম আদালতে রিট করার পর গত ২০ আগস্ট নগর ভবনে আসেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তাঁরা বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই,তথ্য সংগ্রহ,সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদসহ বিভিন্ন নথিপত্রের অনুলিপি সংগ্রহ করেন।



সম্পাদকঃ আলমগীর কবীর, ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মনিরুজ্জামান। উপদেষ্টা সম্পাদক পরিষদঃ শাহিন বাবু । অস্থায়ী কার্যালয়ঃ নাওজোড়, বাসন, গাজীপুর মেট্রো পলিটন, গাজীপুর।
যোগাযোগঃ ০১৭১১৪২১৪৫১, ০১৯১১৮৮৯০৯৩, ই-মেইলঃ khoborersomoy24@gmail.com, web: www.khoborersomoy.com